
লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা বাসস্টান্ডে রংপুর মহানগর শিবির নেতা আসামের নেতৃত্বে বিকাশ ব্যবসায়ীর উপর হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (০৫ এপ্রিল) রাতে উপজেলার বড়খাতা বাজে স্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ-ঘটনায় ভুক্তভোগী বিকাশ ব্যবসায়ী
হাতীবান্ধা থানায় ৯ জন জামাত শিবিরের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধ অভিযোগ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার রাতে বড়খাতা বাস স্ট্যান্ড এলাকার বিকাশ ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম নয়নের কাছে পরিকল্পিতভাবে এসে চাঁদা দাবি করে শিবিরের সাবেক নেতা আসাম,জয়নাল আবেদীসহ ৬ থেকে ৭ জন। এ সময় বিকাশ ব্যবসায়ী টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে দোকান ভাঙচুর ও নগদ ১০ লক্ষ টাকা এবং বিকাশের লেনদেনে ব্যবহৃত মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। এরপর স্থানীয়রা ছুটে এলে তারা ঘটনা থেকে শটকে পড়ে। এরপর ব্যবসায়ী ও শিবির নেতাদের মধ্যে রাত ভর উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বিকাশ ব্যবসায়ী আশরাফুজ্জামান নয়ন বলেন, আমি একজন বিকাশের দোকানদার দীর্ঘদিন ধরে বিকাশের ব্যবসা করে আসছি। আমি মাগরিবের নামাজ পড়ে এসে দেখি আমার দোকানের সামনে কয়েকজন ছেলে গ্যাঞ্জাম করতেছে, পরে আমি তাদেরকে বলি এখন দোকানদারীর সময় আপনারা চলে যান! ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর তারা আবার পরিকল্পিতভাবে এসে আমার দোকানে হামলা চালায় এবং দোকানে থাকা ১০ লক্ষ টাকা ও মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়।এ বিষয়ে আমি স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযুক্ত রংপুর মহানগরের শিবির নেতা
আসাম বলেন,গতকালের ঘটনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। অটো ভ্যানচালকের সাথে তার ঝামেলা মিটমাট করতে গিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কোন প্রকার হামলা বা লুটপাট হয়নি বলে তিনি দাবী করেন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা জামাতের আমির হাসান আলীকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের জামাতের আমির গোলাম রব্বানী বলেন,আমি চিকিৎসার জন্য রংপুরে এসেছি ঘটনাটি শুনেছি। তবে বিকাশ ব্যবসায়ী নয়নের শাস্তি হওয়া উচিত বলে তিনি দাবী করেন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।