
জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আসন্ন কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন–২০২৫ কে সামনে রেখে ‘তরুণ শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। জকসুর সকল পদেই তাদের ব্যাচের প্রতিনিধি থাকবে বলে জানান তাঁরা।

রোববার (১৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বকনিষ্ঠ নবীন শিক্ষার্থী—২০ ব্যাচের প্রতিনিধিরা শহীদ সাজিদ ভবনে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে অধিকাংশ মনোনয়ন উত্তোলন করেন।
২০ ব্যাচের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে এজিএস প্রার্থী শাহরিয়ার রহমান আবির বলেন, “আমি চাই জকসু নির্বাচনটি যেন সকল ভয়ভীতি ও দল-মতের পার্থক্য ছাপিয়ে বছরের সর্ববৃহৎ উৎসবে পরিণত হয়। ২০ ব্যাচের নেতৃত্বকে দৃশ্যমান করা—এই লক্ষ্য নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।”
জকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা খন্দকার সালিল আলম আরাফ পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে বলেন, “আমি ক্ষমতার জন্য নয়, পরিবর্তন আনার জন্য দাঁড়িয়েছি। যে জকসু সমস্যায় চুপ থাকে, সেটি আমার নয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং শিক্ষার্থীদের অধিকারের প্রশ্নে আমি আপসহীন থাকব। প্রতিশ্রুতি নয়, কাজ—এটাই আমার পরিচয়।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ভোট দিলে শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত পাবেন, জকসুর অফিসে নীরবতা নয়, কাজ হবে। কোনো শিক্ষার্থীকে আর একা সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে না।”
ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তাওসিন ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জকসু নির্বাচনকে “গণতন্ত্র চর্চার নতুন সূচনা” হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “জগন্নাথ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর হওয়ার পর এবারই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে—এটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করবে।” তবে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২২ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের তারিখ পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতকালীন ছুটি থাকে। তাই নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা উচিত।”
তিনি প্রশাসনের প্রতি একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি ক্যাম্পাসের সকল ছাত্র সংগঠনের প্রতি সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সুস্থ গণতন্ত্র চর্চা বজায় রাখার আহ্বান করেন।


















