গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলামকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যার দশ বছর মামলা করেছেন নিহতের ছোট ভাই এসএম শাহজাহান কবির। এতে সাবেক স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রয়াত মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের সহধর্মিণী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতিকে প্রধানসহ আওয়ামী লীগের ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আমলি আদালতের কোর্ট জি আরও উপ পরিদর্শক কামাল হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে যান শাহাবুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। এসময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বাইরে শাহাবুল ও মিজানুরকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর সংঘবদ্ধ হয়ে এজাহার নামীয় আসামিসহ অজ্ঞাত আরও ৪০/৫০ জন মিজানুর রহমানের ওপর দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায়। এতে ধারালো ছুরি, রাম দা, কুড়া, শাবল দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় বাঁচার জন্য স্থানীয় মোনায়েমের বাঁশঝাড়ে অবস্থান নিলে আহত মিজানুরকে ঘিরে ধরে ধারালো ছুরি দিয়ে মাথায় ও শরীরে গুরুতর জখম করে অভিযুক্তরা। এরপর মিজানুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাম দা, ছুরি ও লাঠি দিয়ে পুরো শরীরে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় মিজানুর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বাদীর বড় ভাই শাহাবুল ইসলাম তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। এসময় উল্লেখিত আসামিরা শাহাবুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামিরা রাম দা, বেকি, ছুরি, শাবল ও বল্লম দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে।
ঘটনার সময় আসামিরা গুরুতর আহত মিজানুরকে মৃত ভেবে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত মিজানুর ও শাহাবুল ইসলামকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। দায়িত্বরত চিকিৎসক শাহাবুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে গুরুতর আহত মিজানুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে রেফার্ড করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় দীর্ঘ ১০ বছর পর নিহতের ছোট ভাই এসএম শাহজাহান কবির বাদী হয়ে ২২ অক্টোবর রাতে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি