
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ছোট সোহাগী গ্রামের আপেল মাহামুদ গত ২০১৭ সালে “বৃদ্ধ সেবা বৃদ্ধাশ্রম” নামের একটি সেবা মুলক প্রতিষ্ঠানকে নিজে নিয়ন্ত্রণ করার অসৎ উদ্দেশ্যে নাম পরিবর্তন করে এর সাথে জরিত সকল সদস্যকে বাদ দিয়ে মেহেরুননেছা বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করে। সমাজ সেবা অফিসে দায়ের হওয়া একটি অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, ২০১৭ সালের ১৯ মে কাটাখালী বালুয়া এলাকায় বৃদ্ধ সেবা বৃদ্ধাশ্রম নামে গোবিন্দগঞ্জে একটি মাত্র বৃদ্ধাশ্রমের যাত্রা শুরু হয়। কিছু দিন সেই স্থানে চলার পরে জায়গা সংকুলোন হওয়ায় স্থান পরিবর্তন করে বোয়ালিয়া শিব বাড়ীতে একটি ভাড়া বাড়িতে আনা হয়। এরই মধ্য এই বৃদ্ধাশ্রমটি উপজেলায় সুনাম অর্জন করে। তখন বে সরকারী টিভি চ্যানেল যমুনা এবং ডিবিসে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের কিছুদিন পরেই বৃদ্ধ সেবা বৃদ্ধাশ্রম এর সভাপতি আপেল মাহামুদের নিকট বিভিন্ন মানুষের ফোন আসা শুরু হয় এবং বিভিন্ন অনুদান আসতে থাকে তখন অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলে অন্য সদস্যর সাথে হিসাব নিয়ে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। অন্য সদস্যর অগোচরে অনুদানের টাকা পকেটস্থ করে হিসাব না দিয়ে তালবাহানা করে।

তখন সুযোগ বুঝে আপেল মাহমুদ নিজের উদ্দেশ্য হাসিলে বৃদ্ধ সেবা বৃদ্ধাশ্রমটির আসবাবপত্র সহ সকল মালামাল এনে নিজ বাড়ী সংলগ্ন নতুন করে চালু করে তখনও প্রতিষ্ঠা কালিন সদস্যরা সঙ্গে ছিল। ততকালিন সময়ে আরো বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে মানবিক এই বৃদ্ধাশ্রমের নিউজ হয়। ফলে অনুদানের টাকা বাড়তে থাকে সে সময় অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলে অন্য সদস্যকে না জানিয়ে তাদেরকে প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত করে সভাপতি । বরখাস্ত কৃত সদস্যরা কিছু দিন পরে জানতে পারে তারা আর ঐ সংগঠনের সংঙ্গে নাই। তখন নিজের মত করে আপেল মাহমুদ মামাতো,খালাতো,ভাতিজা,ফুফাতো ভাইদের যুক্তকরে নতুন কমিটি গঠন করে এবং বৃদ্ধ সেবা বৃদ্ধাশ্রম এর নাম পরিবর্তন করে মেহেরুননেছা বৃদ্ধাশ্রম নাম দেয়।
গত ২৩ অক্টোবর গভীর রাতে একজন বৃদ্ধা মেহেরুননেছা বৃদ্ধাশ্রম থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কাকতালীয়ভাবে ছোট সোহাগী গ্রামের সংবাদ কর্মি আতিয়ারের সাথে রাস্তায় দেখা হয় ঐ বৃদ্ধার সাথে কথা বলে এবং ভিডিও রেকর্ড করে। বৃদ্ধা স্বীকারোক্তি দেয়, আমাকে বের হতে দেয় না,ঠিক মত খাবার দেয় না, কষ্ট দেয়, সে কারণে আমি বৃদ্ধাশ্রম থেকে পালিয়েছি সেখানে ফেরত যাব না।
পরে ঐরাতে আপেল মাহমুদকে লোকমারফত ডেকে ভ্যান যোগে বৃদ্ধাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়।
বৃদ্ধার জবানবন্দির ভিডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছরিয়ে পরে।
উক্ত ঘটনাকে অন্য খাতে প্রবাহিত করতে ঘটনার তিনদিন পরে থানায় অপহরনের অভিযোগ করে আপেল মাহমাদু।
থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে সংবাদ কর্মি আতিয়ারের সম্মানহানি, উদ্দেশ্য প্রণীতভাবে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করায় আপেল মাহমুদকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আতিয়ার রহমান।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি বুলবুল আহমেদ বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।