নিউজ ডেস্ক:
গত ৫ নভেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার “দৈনিক কালবেলা”র অনলাইন সংস্করণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ” চুড়ির অভিযোগে ২ যুবককে খুঁটিতে বেঁধে মারধর, ভিডিও ভাইরাল” সংবাদটিতে চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে টাকার বিনিময়ে চোরকে ছেড়ে দেয়ার সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৩নং দামোদরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, দৈনিক কালবেলায় আমাকে জড়িয়ে প্রকাশিত খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্যেশ্যপ্রনোদিত।
প্রকৃত ঘটনা হলো:
৪ নভেম্বর সোমবার আমি খবর পেলাম যে, দামোদরপুর ইউনিয়নের কান্তনগর বাজারে দুই মটরসাইকেল চোরকে ধরে জনগণ মারধর করছে।
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে আমি তড়িৎগতিতে ঘটনাস্থলে গ্রামপুলিশের ২জন সদস্যকে প্রেরণ করি।
কিন্তু তারা পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে আমাকে খবর দিলে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে জানতে পারি যে, মোটরসাইকেল চুরি হয়নি; তবে একজনের মোবাইল হারিয়েছিল।
পরে তাদেরকে জনতার রোষানল থেকে উদ্ধার করে পরিষদে এনে উভয় পক্ষের কথা শুনে অভিযুক্তদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সেই হারানো মোবাইল উদ্ধার করে মালিকের হাতে তুলে দিয়ে উপস্থিত লোকজনের সম্মতিতে উভয় পক্ষের স্বাক্ষরিত মুচলেকা নিয়ে উভয়কেই ছেড়ে দেয়া হয়।
কিন্তু, কে বা কারা হয়তো সাংবাদিককে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এবং সেই সাথে ইউনিয়নে শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সকলকে অন্যায়ের পক্ষ ছেড়ে ন্যায়ের পক্ষে কাজ করার আহবান জানাচ্ছি।
এবিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তাজউদ্দীন খন্দকার বলেন, দামোদরপুর ইউনিয়নের যে ঘটনা পত্রিকায় এসেছে আসলে এমন কোনো অভিযোগ পাইনি, থানা থেকে কোনো পুলিশ সদস্যও সেখানে পাঠানো হয়নি।