গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর পেছনে শতবর্ষী পুকুর ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ এবং পরিবেশের ক্ষতি করে গাছ কাটার অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সমাবেশ হয়েছে। সোমবার সকালে শতবর্ষী পুকুর নাগরিক রক্ষা নাগরিক আন্দোলন জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ করে। সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষসহ জেলা পরিষদের দোকান মালিক ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন রাজনীতিক ও পরিবেশ আন্দোলন নেতা ওয়াজিউর রহমান রাফেলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন গাইবান্ধা নাগরিক মঞ্চের আহবায়ক জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ জেলা শাখার সভাপতি দেবাশীষ দাশ দেবু, কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য গোলাম রব্বানী মুসা, বাংলাদেশ সাম্যবাদী আন্দোলন, কেন্দ্রীয় সদস্য মনজুর আলম মিঠু, জেলা কমিটির আহ্বায়ক সবুজ মিয়া, বাসদ মার্কসবাদী নেতা নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, মিনারা বেগম, সাংবাদিক হেদায়েতুল ইসলাম বাবু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জেলা আহবায়ক মৃণাল কান্তি বর্মন, জেলা পরিষদ দোকান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব, সদস্য জুলফিকার সরকার লেনিন, গণ ফোরামের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, শ্রমিক নেতা কাজী আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে গাইবান্ধা জেলা পরিষদ দোকান বরাদ্দের কথা বলে একদিকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা অন্যদিকে দোকান প্রত্যাশীসহ অসহায় মানুষকে কথিত উন্নয়নের গল্প বলে পক্ষে রাখার চেষ্টা করছে। বক্তারা পরিবেশ রক্ষার্থে অবিলম্বে ভরাট করা শতবর্ষী পুকুরটি পুনঃখনন, মার্কেট ও অডিটরিয়াম নির্মাণ বন্ধের দাবি জানান। পরে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বরাবরে একটি স্মারকলিপি স্থানীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার কাছে প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, আধুনিক অডিটরিয়াম ও মার্কেট নির্মাণের জন্য ডাকবাংলোর পেছনের শতবর্ষী পুকুরটি ২০২১ সালে মাটি ফেলে ভরাট করা হয়। সেসময় নাগরিক সমাজের আন্দোলন ও উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞায় সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা পাশ কাটিয়ে জেলা পরিষদ সম্প্রতি আবারও মার্কেট ও অডিটরিয়াম নির্মাণ কাজ শুরু করেছে।