গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের উপজেলা চত্তরে অবস্থিত সনামধণ্য গোলাপবাগ আলিম মাদ্রাসা। ১৯৭৬ সালে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠিানটি স্থাপিত হয়। পৌর শহরের একমাত্র ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গেলাপবাগ আলিম মাদ্রাসা। বন্দর কেন্দ্রীক হওয়ায় এটি উপজেলার মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পরিক্ষা কেন্দ্র। পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে বদলি পরিক্ষা বানিজ্যসহ নানা অনিয়মে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। পড়ালেখার গুণগত মান ঠিক না থাকায় অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিকে ঝুঁকছেন।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আবুল আসাদ সৈয়দ আহমত আলী গত ২৩ সেপ্টম্বর ২০২০ সালে অবসরে যান। প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষের আমলে এই মাদ্রাসাটি খুব সুনাম অর্জন করে। ততকালিন সময়ে এই মাদ্রাসায় ছাত্র ছাত্রীর কোন অভাব ছিল না। বর্তমান অধ্যক্ষ মোঃ ওয়াজেদুল ইসলামের যোগদানের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ধংসের দ্বার প্রান্তে। স্থানীয়রা বলছেন, উত্তরবঙ্গের অন্যতম সেরা এই বিদ্যাপীঠটি অতীত ঐতিহ্য হারিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের এমন দুরবস্থার জন্য অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের দায়ী করছেন অভিভাবকরা। সম্প্রতি সরেজমিনে পরিদর্শন করে মাদ্রাসায় দুপুর ১টার সময় কোন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তবে মাদ্রাসর বারান্দায় অষ্টম শ্রেণীর দুজন ছাত্রীকে দ্বারিয়ে থাকতে দেখা যায়। ঐ শিক্ষাথীদের নিকট হতে বিদ্যালয় ছুটি হয়েছে কি জানতে চাইলে তারা জানায় ছুটি হয়নি তবে বারটার মধ্য আমাদের সব সহপাঠি বিদ্যালয় থেকে চলে যায়, তার সাথে সাথে স্যারেরাও চলে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, আলিম থেকে পরবর্তী শ্রেণিতে যত শিক্ষার্থী ভর্তি দেখানো হয়েছে তার অধিকাংশই ভুয়া। মাদ্রাসার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানার নিকট এবিষয়ে জানতে একাধিক বার মোবাইলে ফোন করে কোন সারা পাওয়া যায়নি। গোলাপবাগ আলিম মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মোঃ ওয়াজেদুল ইসলামকে মাদ্রাসায় না পেয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রশিদ জানান, বিকাল চারটা পর্যন্ত স্কুল খোলা থাকবে এর কোন ব্যাতিক্রম হবেনা। যদি শিক্ষার্থী না থাকে তাহলে তার দায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকেই নিতে হবে।