গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ডিমলা পদুমশহর মধ্যপাড়া দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে ডিশ ব্যবসা দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভুগি ডিশ ব্যবসায়ী প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পাচ্ছে না বলে জানান।
অভিযোগে জানা গেছে, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ডিমলা পদুমশহর মধ্যপাড়া গ্রামের মজনু মিয়া উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়ন এলাকায় নিজস্ব অর্থায়নে তার টেনে গ্রাহকদের লাইন সরবরাহ করে দীর্ঘদিন থেকে পাভেল এন্টারপ্রাইজ নামীয় ক্যাবল নেটওয়াক (যার লাইসেন্স নং- এফও-৩৯৮, রেজিঃ নং- ২৭৫১) ব্যবসা করে আসছেন। প্রায় ৫ বছর আগে মজনু মিয়া মারা যাওয়ায় তার স্ত্রী শাবানা খাতুন স্বামীর নেটওয়ার্ক ব্যবসা নিজের নামে হালনাগাদ করে ছোট ভাই মোঃ পাভেল মিয়ার সহযোগিতায় ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। প্রতি বছর ভ্যাট, ট্যাক্স ও সরকারী ফি জমা দিয়ে ক্যাবেল নেটওর্য়াক আইন অনুযায়ী ব্যবসা করছেন।
সম্প্রতি উপজেলার টেপা পদুমশহর গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ সরকারের ছেলে শাহরিয়ার তাহের একই গ্রামের সায়েদ ইসলাম ও মোঃ ইমরান তার ব্যবসায়িক এলাকার বিভিন্ন (আবাসিক ক্যাবল নেটওয়ার্ক) ডিশ লাইনের প্রায় ১শ ৫০টি টিভির তার কেটে দিয়ে তারা জোরপূর্বক ও অবৈধ ক্ষমতা বলে তাদের দখলে নিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে পর্যায়ক্রমে সমস্ত তার কেটে দিয়ে তাদের দখলে নেয়ার হুমকী দেয়।
ডিশ ক্যাবেল লাইন কাটার প্রতিবাদ ও চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় ওই চক্রটি তার পরিবারের সদস্যসহ তাকে বেদম মারপিট করে। তাদের বেধরক মারপিটে আহত হয়ে শাবানাসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়। এ ঘটনায় সাঘাটা থানা, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করলে তারা আর লাইন কাটবে না বলে ভুল স্বীকার করে থানায় মুচলিকা দেয়। কিন্তু কয়েকদিন পর আবারো লাইন দখলে নিয়ে তার কাছে পূর্বের ন্যায় অর্থ দাবী করে।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নিবার্হী অফিসারের দফতরে আবারো অভিযোগ করলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং আবারো তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে নতুন নতুন লাইন কেটে দেয়। শাবানা খাতুনের দেড় শতাধিক ক্যাবেল দখলে নিয়ে নিজেদের নামে নতুন ক্যাবল লাইসেন্স ব্যবসার অনুমোদনের আবেদন করে।
শাবানা খাতুন জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিগণের কারনে আমি আমার এলাকায় স্বাধীনভাবে ডিশ ব্যবসা করিতে পারছি না। স্বামী না থাকায় সনত্মানদের নিয়ে আমি এ ব্যবসার উপর নির্ভরশীল। তারা প্রতিদিন আমার বিভিন্ন এলাকার লাইন কেটে দখলে নিচ্ছে। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইসাহাক আলী জানান, এ ঘটনায় একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। ক্যাবেল লাইন কেটে দেয়া ফৌজদারি অপরাধ। তদন্ত করে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।