নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্যে তরুণ নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটি গাইবান্ধার সাত উপজেলায় সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। চলতি বছর জুলাই-আগষ্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী, আহত ও শহীদ পরিবারসহ শিক্ষক, আইনজীবী, লেখক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, গৃহিণীসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষ এই সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন।
ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী ও নেতৃত্বদানকারীদের উদ্যোগে সংহতি, প্রতিরোধ, পুনর্গঠন এই শ্লোগাণে গত ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এই কমিটি আত্মপ্রকাশ করে। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহনে সারাদেশে এই কমিটি গঠন হচ্ছে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা: রূপায়ণ ট্রেড সেন্টার, লিফট-১৫, ফ্লোর-৩, ১১৪ কাজী নজরুল ইসলাম সরণী, বাংলা মোটর, ঢাকা-১২০৫।
কেন্দ্রীয় জাতীয় নাগরিক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধায় জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন নাজমুল হাসান সোহাগ ও মাহামুদ মোত্তাকিম মন্ডল। এর মধ্যে পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর উপজেলা কমিটির জন্য নাজমুল হাসান সোহাগ (০১৭৩৪-৬৭৩৮৪৮), ফুলছড়ি-সাঘাটায় মাহামুদ মোত্তাকিম মন্ডল (০১৭৭০-৮৩৫৯৬৯), সদরে রাশেদুল ইসলাম জুয়েল (০১৭৩৬-৬৭৫১২৩), সুন্দরগঞ্জে মো. আজিজুর রহমান (০১৭৭৪-৩৫৫২১৯) এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় আবু তাহেরকে (০১৭৭৪-৩২৪৯০১) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আগ্রহী ব্যক্তিরা জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য হতে মোবাইল নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করতে পারেন। “জাতীয় নাগরিক কমিটি, গাইবান্ধা জেলা” নামে সংগঠনটির ফেসবুক পেইজ রয়েছে। আগ্রহীরা সেখানেও যোগাযোগ করতে পারবেন। এছাড়াও যোগাযোগ করা যাবে bijoy24bangla@gmail.com ইমেইলটিতেও।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্খাকে সমুন্নত রাখতে এই কমিটি কাজ করে যাবে বলে জানান গাইবান্ধায় জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি নাজমুল হাসান সোহাগ। তিনি জানান, স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী সকলকে এই কমিটিতে স্বাগত জানাচ্ছি। একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এই কমিটিতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কোন অংশীজন বা সুবিধাভোগী কমিটিতে থাকতে পারবেন না। সদস্য হতে জুলাই-আগষ্ট অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করতে হবে বলেও জানান জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি নাজমুল হাসান সোহাগ।