বৃহস্পতিবার , ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  4. কৃষি
  5. ক্যাম্পাস
  6. জাতীয়
  7. তথ্য ও প্রযুক্তি
  8. নির্বাচনী সংবাদ
  9. ফিচার
  10. বিনোদন
  11. মুক্ত মন্তব্য
  12. রাজনীতি
  13. সম্পাদকীয়
  14. সাক্ষাৎকার
  15. সারাদেশ

বিলুপ্ত প্রায় প্রাচীন অঞ্চলের ঐতিহাসিক মাটির বাড়ি

প্রতিবেদক
FIRST BANGLA NEWS
ডিসেম্বর ৫, ২০২৪ ৮:২৮ অপরাহ্ণ

ইমন মিয়া

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর। মাটির ঘরের স্থান দখল করে নিচ্ছে ইট-পাথরের দালান। সবুজ শ্যামল ছায়াঘেরা শান্তির নীড় মাটির ঘর। বেশি দিন আগের কথা নয়, প্রতিটি গ্রামে নজরে পড়তো অনেক অনেক মাটির ঘর। যাকে গ্রামের মানুষ বলেন, গরীবের এসি ঘর। ঝড়, বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি প্রচণ্ড গরম ও খুব শীতে বসবাস উপযোগী মাটির তৈরি এসব ঘর। এখন আর তেমন একটা নজরে পড়ে না মাটির ঘর। বেশ আগের কথা যখন গাঁও-গ্রামে দৃষ্টিনন্দন মাটির ঘর বাড়ি ছিল। মাটির ঘর দেখতে হলে গাঁও-গ্রামেই যেতে হয়তো। আর গাঁও-গ্রামেই এখনো অনেক মাটির ঘর বাড়ির দেখা মিলে না। গ্রামের অঞ্চলের লোক স্বাবলম্বী হয়ে পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করে গরীব পরিবারগুলো এখন তৈরি করছে ছোট বড় আধাপাকা বাড়ি। এক সময় দুপচাঁচিয়া উপজেলাতে প্রতিটি গ্রামে মাটির ঘর চোখে পড়তো। মাটির ঘরকে স্থানীয় ভাবে কোঠার ঘর বলে থাকেন অনেকেই। তবে সামান্য কয়েকটি জায়গা ছাড়া এখন আর কোথাও এ ঘর দেখা যায় না। আধুনিকতার ছোঁয়া আর কালের বিবর্তনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এ চিরচেনা মাটির ঘর বিলুপ্তির পথে বললেই চলে। গত কয়েক বছর ধরে মাটির ঘর নতুন করে কেউ আর তৈরি করছেন না। ইট, বালুর সহজলভ্যতার কারণে এবং গরিব মানুষ গুলোর আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে চিরায়ত বাংলার মাটির তৈরি এসব ঘর।

মাটির ঘরের কারিগর জানান, প্রায় ১৮ বছর আগে মাটির ঘর বানানোর জন্য সময় পেতাম না। একটি ঘর বানানোর পর পরই আরোটিতে কাজে লাগতে হতো। কিন্তু এখন আর এগুলো বানাই না। সবাই এখন পাকা, আধা-পাকা কিংবা টিনের ঘর বানায়। এক একটি মাটির ঘরগুলো বানাতে মাস খানেক সময় লেগে যেতো। তবে এক মাসে প্রায় ৪-৬টি ঘরের কাজ করতাম।

বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলার আট গ্রামের নগরপাড়ার মো মজনু খাঁন বাড়িতে সেই পুরোনো স্মৃতিভরা শান্তির নীড় মাটির ঘর দেখা যায়। মো মজনু খাঁন জানান, এই ঘর আমার দাদার ছিল। সে মারা যাওয়ার পর আমার বাবা থাকতেন। এখনও ঘরটি রয়েছে। দাদার পুরোনো স্মৃতি ধরে রাখতে এখনো মাটির ঘর রেখে দিয়েছি। তবে যুগের সাথে তাল মেলাতে এখন অনেকে ইটের ঘর তৈরি করছে, তাই ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে মাটির ঘর।

বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলার আটগ্রাম নগরপাড়ার নাহিদ হাসান জানান, এক সময় প্রায় বাড়িতেই মাটির ঘর ছিলো। ধনী-গরিব কোন ভেদাভেদ ছিলো না। বর্তমানে আধুনিক জীবন যাপনের ইচ্ছা ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ মাটির বাড়ি ঘর ভেঙ্গে পাকা বাড়ি তৈরির দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।

মাটির ঘরের বাসিন্দা এম এ বাতেন খান বলেন, মাটির ঘর বসবাসের জন্য আরামদায়ক হলোও যুগের বিবর্তনে অধিকাংশই মানুষ মাটির ঘর ভেঙ্গে অধিক নিরাপত্তার জন্য পাকা ঘর তৈরি করছে। বাপ দাদার আমলে মাটির ঘরের সমারোহ ছিল অফুরন্ত কিন্তু আজ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে স্থান দখল করে নিয়েছে ইট কিংবা কংক্রিটের বড় বড় অট্টালিকা, যার ফলে মাটির তৈরি ঘর আজ গ্রাম থেকে বিলুপ্ত প্রায়। বর্তমান প্রজন্ম এই মাটির ঘরের সাথে অনেকেই অপরিচিত।

সর্বশেষ - আইন আদালত

আপনার জন্য নির্বাচিত

দিনাজপুর বিআরটিএ’র সচেতনতামূলক রোড শো অনুষ্ঠিত

দিনাজপুরে এক মাদক কারবারি গ্রেফতার

পবিপ্রবি বিজনেস ক্লাবের নেতৃত্বে অধ্যাপক মোঃ হাসান উদ্দিন ও মোঃ মেহেদী হাসান 

পবিপ্রবিতে আইটি কার্নিভাল-২০২৪ অনুষ্ঠিত 

গাইবান্ধায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন

নওগাঁয় শিক্ষা ও আইসিটি শাখার সি এ এর বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ 

পবিপ্রবি’তে সম্পন্ন হলো বিডিএপ্স মোবাইল অ্যাপ চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা 

দিনাজপুরে আন্তর্জাতিক নার্স দিবসকে বয়কট করেছে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং ইনস্টিটিউটের এর সকল শিক্ষার্থীরা

মেহেরুননেছা বৃদ্ধাশ্রম এর সভাপতি আপেল মাহামুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ 

চাটখিলে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত