
শফিকুল ইসলাম সাগর সাব এডিটরঃ
গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৬ নং ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নামে
মিথ্যা অপ-প্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ৬ নং ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ১২ জানুয়ারী/২৫ ইং সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ৬ নং ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিপন।

আসসালামু আলাইকুম, আমি মোঃ শহিদুল ইসলাম শিপন, চেয়ারম্যান ৬ নং ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদ, সাদুল্লাপুর, গাইবান্ধা। এই পরিষদ ভবনে আসার জন্য আপনাদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি আজ অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয় নিয়ে হঠাৎ করে আপনাদের সামনে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছি। গতকাল ১১ জানুয়ারী/২৫ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং আজ বিভিন্ন সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পারলাম, আমারই ইউনিয়ন পরিষদের চার জন মেম্বার আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ১১ জানুয়ারী/২৫ অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মেম্বার মোঃ জয়নাল আবেদিন, মোঃ জিল্লুর রহমান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ও মোঃ জিল্লুর রহমান। তারা সংবাদ সম্মেলনে, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করেছেন। আমি ওই সংবাদ সম্মেলনের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রকৃত ঘটনা আপনাদের মাধ্যমে জনসাধারণের সামনে তুলে ধরছি। আমার বিরুদ্ধে ওই চার জন ইউপি সদস্য তাদের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমানের এলাকার ৪ টি বয়স্ক ও ১০টি বিধবা ভাতা প্রতিস্থাপনের জন্য স্বাক্ষর জাল করে সমাজ সেবা অফিসে রেজুলেশনে জমা দেওয়া এবং ১ জনকে মৃত্যু দেখিয়ে অন্যের নাম অন্তর্ভুক্ত করা, ভাতা ভোগীর কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহন, গোপনে মাসিক মিটিং করা ও ইউপি সদস্যদেরকে পরিষদে না ডাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। আসলে এসব আমার বিরুদ্ধে তাদের মনগড়া অভিযোগ। এগুলো সম্পুর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও হেনস্তার উদ্দেশ্যে তাদের ওই আয়োজন। আমি কোনো ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর জাল করি নাই। ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমানের ওয়ার্ডের বিধবা ও বয়স্ক ভাতার জন্য গোপনে কোনো রেজুলেশন করা হয়নি। জীবিত মানুষকে মৃত্যু দেখিয়ে সেই স্থানে অন্যকে ভাতা ভোগীর আওতায় অন্তর্ভুক্তির সুযোগ নেই। বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, গভবর্তী ভাতাসহ যে কোনো সরকারী ভাতা বা সুযোগ-সুবিধা আসলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা এবং মাইকিং করে উপযুক্ত ব্যক্তিদের প্রদান করা হয়। সেখানে উৎকোচ গ্রহণতো দূরের কথা বরং অসহায় মানুষকে ভ্যান ভাড়া দিয়ে তাদের বাড়ীতে পৌছানো হয়। এছাড়া আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর অদ্যাবধি এই পরিষদে গোপনে কোনো মিটিং হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদে মিটিংয়ের প্রয়োজন হলে কমপক্ষে ৭ দিন পূর্বে সচিবের সহযোগিতায় সম্মানিত ইউপি সদস্যগণকে নোটিশ প্রদান করা হয়। আমি অত্যান্ত দুঃখ ও পরিতাপের সাথে বলতে চাই যে, তারা আমাকে পতিত সরকারের কর্মী বানিয়েছে। অথচ আমি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ৬ নং ধাপেরহাট ইউনিয়ন শাখার সাধারন সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক দল, সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় বিগত ২০২২ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ওই নির্বাচনের সময় তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের লোকজন আমার কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। একই সঙ্গে দ্রুত বিচার আইনে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার পরিবার সহ কর্মীদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রেখেছিল। ভয় ভীতিতো ছিলোই। বর্তমানেও আমাকে ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে বিগত সরকারের গায়েবি মামলাসহ কয়েকটি মামলা চলমান। বরং যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভীত্তিহীন, বানোয়াট অভিযোগ এনেছেন তারাই পতিত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকেই তারা ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত। তাদের বহুবার ডাকার পরও উপস্থিত হয়নি। এই বিষয়ে মৌখিক ভাবে সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে এখন তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।
মূলত আওয়ামী পতিত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট অভিযোগ এনেছেন। তারা ওই সাংবাদিক সম্মেলন করে এলাকায় আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার অপ-চেষ্টায় লিপ্ত আছেন। তাদের এমন অপচেষ্টা রুখে দেবেন আমার এলাকার শান্তি প্রিয় জনগণ। তাই আমি ওই মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে প্রকৃত সকল ঘটনা আপনাদের মাধ্যমে সবার কাছে তুলে ধরছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ইউপি সদস্যগন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, ইউনিয়নের সচিব ইউনুস আলী, ইউপি সদস্য শাহাদাত হোসেন, একরামুল, আবু তালেব,ইউনুস,আশাদুল, মহিলা সদস্যা হাসনা বেগম,রওশন আরা,লাভলী বেগম উপস্থিত ছিলেন ও তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। এসময় সাদুল্লাপুর উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদ কর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।