
নাজমুল হাসান,মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
পৈত্রিক সম্পত্তির ভোগ-দখল নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে দুই পরিবারের মাঝে।সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে মামলা গড়ায় ভূমি অফিসে।ভূমি অফিস কর্তৃক সরেজমিনে এসে তদন্তপূর্বক রায় দেয়ার নোটিশ দেয়া হয় উভয় পক্ষ কে।

কিন্তু,ভূমি অফিস কর্তৃক প্রদত্ত রায় আসার পূর্বেই বিবাদী পক্ষকে উক্ত বিবাদপূর্ণ জমি দখলের নির্দেশ দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।
২৪শে জানুয়ারী(শুক্রবার) মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজপাড়া এলাকার আব্দুল মোতালেব মুন্সীর পরিবারের ও অপর পক্ষ জলিল চৌকিদারের পরিবারে সাথে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিবাদ চলমান।
উভয় পরিবারের বিরোধ নিরসনের জন্য তারা সরণাপন্ন হন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ হাওলাদার এর নিকট।অতঃপর ২৪শে জানুয়ারী(শুক্রবার) কাজীবাকাই ইউনিয়নের পাওয়ার হাউজ বাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে শালিশ বৈঠকে উপস্থিত বিচারকগণ সিদ্ধান্ত নেন,২৬শে জানুয়ারী(রবিবার) ভুমি অফিস কর্মকর্তাগন সরেজমিনে তদন্তে এসে অফিশিয়ালি যে রায় দিবেন তা উভয় পক্ষকেই মেনে নিতে হবে এবং রায় আসার পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত জমি যাদের দখলে ছিলো তাদের ভোগ দখলেই থাকবে।
কিন্তু,রহস্যজনক কারণে এর কিছুক্ষণ পরেই শালিশ বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তকে ঘুড়িয়ে ফেলেন ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ হাওলাদার। তিনি বিবাদী পক্ষ
জলিল চৌকিদারের পরিবারের সদস্যদের বলেন উক্ত জমির দখল নিতে।
অতঃপর চেয়ারম্যানের নির্দেশে বেশ লোকজন নিয়ে আব্দুল মোতালেব মুন্সীর জমির নেয় জলিল চৌকিদারের পরিবারের সদস্যরা।
এবিষয়ে বাদী পক্ষ মোতালেব মুন্সীর বড় ছেলে মাহবুব হোসেন বলেন,আমরা দাদার আমল থেকে প্রায় অর্ধশত বছর যাবৎ এই জমির ভোগ-দখল করে আসছি।এখন যদি কাগজপত্র অনুযায়ী তারা পায় তাহলে তাদের দিয়ে দিতে রাজি আছি।কিন্তু, ভূমি অফিস থেকে নোটিশ দেয়ার পরও তারা আমাদের জায়গা কিভাবে দখল করে?
বিবাদীপক্ষের জলিল চৌকিদার বলেন, শালিশ বৈঠকের পর চেয়ারম্যানের নির্দেশে উক্ত জমির দখল নিয়েছি।
এবিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা প্রণয় সরকার জানান,জনপ্রতিনিধিরা চাইলে জনগনের সুবিধার্থে যে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন।তবে,আমরা যেহেতু উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়েছি সেক্ষেত্রে আমাদের তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাটাই ভালো ছিলো।
তবে এ বিষয়য়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ হাওলাদারের মুঠোফোন একাধিকবার কল দেয়া হলেও কল রিসিভ করেননি তিনি।ফলে,তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বারিক জানান,অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে নেয়া হবে ব্যবস্থা।