শনিবার , ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  4. কৃষি
  5. ক্যাম্পাস
  6. জাতীয়
  7. তথ্য ও প্রযুক্তি
  8. নির্বাচনী সংবাদ
  9. ফিচার
  10. বিনোদন
  11. মুক্ত মন্তব্য
  12. রাজনীতি
  13. সম্পাদকীয়
  14. সাক্ষাৎকার
  15. সারাদেশ

সবজির বাজারে স্বস্তি,চাল-মাছের দামে উর্ধগতি

প্রতিবেদক
FIRST BANGLA NEWS
ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫ ৮:৩৭ অপরাহ্ণ

নাজমুল হাসান, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ

বাজারে সরবরাহ বাড়ায় শীতকালীন শাক-সবজির দামে ফিরেছে স্বস্তি। তবে চাল ও মাছের চড়া দামে সেই স্বস্তি যেন অনেকটাই হ্রাস হয়ে আসছে। নানাজাতের মাছে বাজার ভরপুর থাকলেও দাম কিছুটা বাড়তি-ই দেখা গেছে।

শনিবার (৮-ই ফেব্রুয়ারী) সকালে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর বাজার, ফজলগঞ্জ বাজারসহ বেশকয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

 উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে বাড়ছে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ। দোকানিরাও এর পসরা সাজিয়ে বসছেন। এতে দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

ফজলগঞ্জ বাজারের সবজি বিক্রেতা সবুজ মিয়া বলেন, সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে কোনো কোনো শাক-সবজির দাম। সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমবে।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, লতি ৫০-৬০ টাকা ও পটোল ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ৩৫-৪০ টাকা, ক্ষিরাই ৪০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, দেশি পাকা টমেটো ৬০ থেকে ৮০ টাকা, শিম ২৫ টাকা, শালগম ২০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়।

এছাড়া, প্রতি কেজি ধনেপাতা ৩০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ২০ টাকা, পাতাসহ পেঁয়াজ ৩০, নতুন আলু ৪৫ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ব্রকলি ৩০-৪০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা।

দাম কমেছে কাঁচা মরিচেরও। খুচরা পর্যায়ে এটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৮০ টাকায়, আর পাইকারিতে ৪০-৬০ টাকা। এছাড়া, বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পুঁইশাক ২৫-৩০ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।

সবজির দাম কমতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ভোক্তাদের মধ্যে। তারা জানান, শাক-সবজির দাম কমায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। ফয়সাল নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সবজির দাম অনেকটাই হাতের নাগালে চলে এসেছে। সবসময় বাজার এরকম থাকলেও কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যেত।

“মাছের দাম চড়া”

সবজির দামে স্বস্তি ফিরলেও বাজারে এখনও মাছের দাম চড়া। সপ্তাহ ব্যবধানে আরও অস্থির ইলিশের বাজার।

কাজিবাকাই ইউনিয়নের পাওয়ার হাউজ বাজারের ইলিশ বিক্রেতা মো. শুকুর আলী জানান, ইলিশ কম ধরা পড়ছে। এতে বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে।

তিনি বলেন, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ২০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ টাকায়। এছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ৩২০০ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২০০০ টাকা হারে, আর ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০ টাকা ও ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত।

বাজারে পাঙাস মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও দেশি কৈ ৮০০, চাষের কৈ ৩৫০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০, বাইম ৮০০, রুই মাছ আকৃতি ভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০, বড় কাতল মাছ ৪৫০, ছোট কাতল ৩৫০, কার্প মাছ ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৬০, তেলাপিয়া ২৩০, চিংড়ি ৮০০, মলা মাছ ৩৫০ টাকা এবং শোল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে।

বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৫০ টাকায়। এছাড়া, প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৪০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকায়।

দোকানগুলোতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা। প্রতি কেজি খাসির মাংস ১০৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়।

“স্বস্তি নেই চালের বাজারে”

গত তিন সপ্তাহে চিকন চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৮ টাকা এবং মোটা ও মাঝারি চালের দাম ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট ৭৬-৮০ টাকা, আটাইশ ৬০-৬২ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়।

হাবিবুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় আমন ধান ওঠেছে। বাজার এখন চালে ভরপুর, দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। এটি ব্যবসায়ীদের বাজার লুটের কৌশল। বাজারের পাশাপাশি মিলগুলোতেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান।

আর বিক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।

সর্বশেষ - আইন আদালত

আপনার জন্য নির্বাচিত

গাইবান্ধায় ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টস এন্ড বিজনেসমেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ডাকবাংলোর শতবর্ষী পুকুর ভরাট ও গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন

হরিরামপুর ইউনিয়নে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দোয়া মাহফিল ও কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

লালমনিরহাটে জামায়াতে ইসলামীর তত্ত্বাবধানে সোয়াবের পক্ষ থেকে রমজান উপলক্ষে প্রায় ২১লক্ষ টাকার সামগ্রী বিতরণ 

চাটখিল পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল 

পবিপ্রবি বিজনেস ক্লাবের নেতৃত্বে অধ্যাপক মোঃ হাসান উদ্দিন ও মোঃ মেহেদী হাসান 

হাসিনা ক্ষমতায় এসে সারাদেশে গডফাদার তৈরি করেছিল-মামুনুর রশিদ মামুন

পলাশবাড়ীতে নানা আয়োজনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশের অভিযান 

বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে গাইবান্ধায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ