
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে ১০টি গরুসহ ট্রাক ডাকাতি মামলায় অভিযুক্ত ৪ ব্যক্তি করে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) দুপুরে আটক ব্যক্তিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন- গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সমসপাড়া গ্রামের মৃত আলম মিয়ার ছেলে শিপন (২৪), গাইবান্ধা সদরের খামার পীরগাছা গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিম (৪৫), ধানগড়া গ্রামের মৃত মোজাম্মেলের ছেলে আমিন মিয়া (৪৬) এবং পলাশবাড়ী উপজেলার বলরামপুর গ্রামের মৃত হাকিম উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৫০)। তাদের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে দায়েরকৃত মামলা নম্বর-৩৯।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোপনসূত্রে খবর পেয়ে গত রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অভিযুক্ত শিপনকে সমসপাড়া নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্যে একই তারিখে রেজাউল; রেজাউলের দেয়া তথ্যে আল-আমিন এবং সবশেষ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ঘোষকান্দা গ্রামের মৃত আরশ আলীর ছেলে গরু ব্যবসায়ী জাকির হোসেন দিনাজপুর জেলার গরু ব্যবসায়ী তার চাচা ইব্রাহীমকে সাথে নিয়ে ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে গরু কেনার জন্য নীলফামারি জেলার ডোমার থানাধীন বসুনিয়া হাটে যান। পরের দিন ওই হাট থেকে বিভিন্ন আকারের ১০টি গরু কেনন এবং স্থানীয় রাখালকে সাথে নিয়ে ভাড়া ট্রাকে (ঢাকা-মেট্রো-ড-৪১৯৩) নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে ২৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১টার দিকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোমরপুর এলাকার বৈঠাখালি নামক স্থানে পৌঁছিলে ৮/১০ জনের ডাকাতদলের ট্রাক দিয়ে ব্যারিকেট গরু বোঝাই ট্রাকের গতিরোধ করা হয়। পরে বাদী, বাদীর চাচা, রাখাল, ট্রাক হেলপার ও ড্রাইভারকে হাত-পা-মুখ বেঁধে ডাকাতদের ট্রাকে তুলে ডাকাতদলের অন্য সদস্যরা গরুবোঝাই ট্রাকটি নিয়ে চলে যায়। অপরদিকে রাত সাড়ে ৩টার দিকে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ীর একটি সড়কে বাদীসহ অন্যদের হাত-পা-মুখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে রেখে ডাকাতদল তাদের ব্যবহৃত ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে যায়।