
মোঃমোমিনুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার (দিনাজপুর)
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (২৭ অক্টোবর, ২০২৫) দিনাজপুর জেলা যুবদলের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফল ও সার্থক করার লক্ষ্যে বেলা সাড়ে ১২টায় দিনাজপুর ইনস্টিটিউট থেকে এক বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এ.জেড.এম জাহিদ হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এ.জেড.এম জাহিদ হোসেন বলেন , এই মাসে আজকে ২৭ তারিখ অর্থাৎ এই ২৭ শে অক্টোবর আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন ইনশাআল্লাহ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ এর মধ্যে পবিত্র মাহে রমজানের পূর্বেই যেমনটা ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা এবং নির্বাচন কমিশন সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যেই ঐক্য এই দেশ থেকে স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করলো সে ঐক্যের কারণে বাংলাদেশের মানুষ আগামী দিনে স্বপ্ন দেখা শুরু করলো সেই ঐক্যের মধ্যে কেউ কেউ বা কোন কোন কর্নার থেকে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে আমরা অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে সবাইকে অনুরোধ করতে চাই এই বাংলাদেশটি সবার এই বাংলাদেশটি মনে রাখতে হবে যার যার রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকতে পারে কিন্তু মনে রাখতে হবে সবার আগে বাংলাদেশ গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশের স্বার্থ সকল রাজনৈতিক এজেন্ডার উপরে স্থান দিতে হবে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র যে বা যারাই করেন না কেন কোন অবস্থাতেই গণতন্ত্রকামী মানুষকে ষড়যন্ত্র করে গণতন্ত্রকে থেকে দূরে রাখতে পারবেন না নির্বাচনকে প্রলম্বিত করার কেউ চেষ্টা করবেন না আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেদের মধ্যে আমাদের মধ্যে কারো কারো মধ্যে কোন প্রশ্ন থাকতে পারে এই আমাদের জাতীয় সনদের ব্যাপারে কিভাবে বাস্তবায়িত হবে কিন্তু মনে রাখবেন জাতীয় সনদ আজকে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বাধীনতা পরবর্তীতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক দলিল হচ্ছে জাতীয় সনদ যেটি সারা দেশের সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রণয়ন করেছে এবং যেটির মধ্যে স্বাক্ষর করেছে এই দেশের ক্রিয়াশীল সকল রাজনৈতিক দল দু একটি পার্টি এখনও বাকি আছে তাদের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ করব আপনারা গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছেন গণতন্ত্রের জন্য হাজার হাজার মানুষ পঙ্গু হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের অনেক ভাইয়েরা আজকে গুম হয়ে আছে আমরা জানিনা সেই রক্তের উপর পা দিয়ে রক্তের কথা মনে রেখে এবং আজকে সেই রক্তকে স্মরণ করতে হলে সেই ঋণ যদি পরিশোধ করতে হয় তাহলে যে সংস্কার কমিশন কর্তৃক উত্থাপিত সেই জাতীয় সনদ যেটি আজকে রাজনৈতিক দলিল হিসেবে আজকে আমরা সারা দেশের মানুষ গ্রহণ করেছি ইনশাআল্লাহ আগামী জাতীয় নির্বাচনে যে বা যারাই জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন না কেন এই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করা তাদের অবশ্যই করণীয় কোন অবস্থাতেই পিছিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই আর এই দেশের মানুষ একবার যেহেতু ঐক্যবদ্ধ হতে শিখেছে কেউ যদি মনে করে ভবিষ্যতে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে আবার স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনার চেষ্টা করবেন সনদ থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে সেটি ভুল কারণ মানুষ জেনেছে মানুষ শিখেছে কিভাবে গণতন্ত্র আদায় করতে হয় কিভাবে স্বৈরাচারকে বিদায় করতে হয় কাজেই বিশ্বাস রাখতে হবে জনগণের উপর জনগণই আগামী দিনের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের রায় দিবে জাতীয় সনদের মূল অধ্যায় কিভাবে বাস্তবায়িত হবে সেটি আজকে লিখা রয়েছে এবং সেটি আজকে জাতি গ্রহণ করেছে কাজেই আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করব
তিনি আর বলেন, স্বৈরাচারের পথকে কেউ সুগম করার চেষ্টা করবেন না এমন কোন ফাটল তৈরি করবেন না যেই ফাটল দিয়ে স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা সফলকাম হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারে কিন্তু একটি কথা সুস্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই এই বাংলাদেশ এই বাংলাদেশ যারা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছে সেই বাংলাদেশকে কোন ষড়যন্ত্র করে সাড়ে 17 কোটি মানুষকে দাবিয়ে রাখা যাবে না ষড়যন্ত্র করতে পারেন ষড়যন্ত্র দেশের থেকে বাইরে থেকে অনেকেই করতে পারেন বিশেষ করে পলায়িত স্বৈরাচার তার দোসররা আজকে ষড়যন্ত্র করে কাউকে উস্কে দিতে পারেন কিন্তু কোন অবস্থাতেই সফল হতে পারবেন না এদেশের মানুষ জেগে জেগে গেছে মানুষ জেনে গেছে কিভাবে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হয় কাজেই গণতন্ত্রকামী মানুষের শক্তির উপর বিশ্বাসী হয়ে আমরা আস্থা রাখতে চাই কোন ষড়যন্ত্র বাংলাদেশে সফলকাম হবে না শেষ বিচারে বিজয় হবে জনগণের আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে এবং যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি শহীদ জিয়ার প্রতি
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কবৃন্দ।
দিনাজপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এ.কে.এম মাসুদুল ইসলাম মাসুদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব রেজাউর রহমান রেজা। নেতৃবৃন্দ যুবদল প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুব সমাজের করণীয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই শোভাযাত্রাটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।


















