
জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে প্রতিশ্রুত সম্পূরক বৃত্তির সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ও তালিকা প্রকাশের দাবিতে উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল।

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তারা এই অবস্থান নেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানুয়ারিতে বৃত্তি প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত তালিকা প্রকাশ বা বিতরণের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আন্দোলনকারীরা। তারা জানান, প্রশাসনের সাথে এ বিষয়ে এখনো কোনো যোগাযোগ হয়নি, তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘‘প্রশাসন বলছে জানুয়ারিতে বৃত্তি দেবে। কিন্তু টাকা আসা মাত্রই তো আর হুট করে দেওয়া যায় না। এর জন্য পরিকল্পনা প্রয়োজন, তালিকা প্রকাশের দরকার। কারা বৃত্তি পাবে, কোন প্রক্রিয়ায় বা কোন মাধ্যমে টাকা পাবে সেগুলো চূড়ান্ত করা জরুরি। জানুয়ারিতে বৃত্তি দিতে হলে এখনই এই বিষয়গুলো পরিষ্কার থাকা উচিত ছিল। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না দেখেই আমরা আজ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আবাসন সংকটের কথা উল্লেখ করে রাকিব আরও বলেন, ‘‘অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ, কোথাও শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। অথচ আমাদের একটিমাত্র হল, যেখানে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ শিক্ষার্থী থাকে। পূর্ণাঙ্গ আবাসন ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত এই সম্পূরক বৃত্তি আমাদের জন্য ‘ক্রুশাল নিড’। যমুনা লংমার্চ বা অনশনের সময় আমরা জানতাম লাঠিপেটা বা টিয়ারশেলের শিকার হতে পারি, তবুও আমরা গিয়েছি। একইভাবে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ছাড়া আমরা এবারও কর্মসূচি প্রত্যাহার করব না।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষার্থীরা যখনই কোনো আন্দোলনের ঘোষণা দেয়, তখনই দেখি প্রশাসন তড়িঘড়ি করে মিটিং ডাকে। এটা পুরনো ইতিহাস। আজকের মিটিং থেকে যদি শিক্ষার্থীদের পক্ষে ফলপ্রসূ কোনো সিদ্ধান্ত না আসে, তবে আমাদের আন্দোলন আরও কঠোর হবে।’’
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে লং মার্চ টু যমুনা আন্দোলনে আবাসন বৃত্তি এবং পরবর্তীতে সেপ্টেম্বর মাসে আবাসন বৃত্তিসহ ৩ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা অনশন কর্মসূচি পালন করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সম্পূরক আবাসন বৃত্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল।


















