
মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলা ও বাধা প্রয়োগ করায় একজন মানবাধিকার কর্মীকে মারপিট করাসহ ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে।এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলার বড় হযরতপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কফিল উদ্দিনের(৪৫) বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী ও থানার অভিযোগ থেকে জানা-ইউনিয়নের বড় হযরতপুর গ্রামের আঃ ছাত্তারের ছেলে মনিরুল ইসলাম সবুজ(২৯) আইন ও অধিকার ফাউন্ডেশনের রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।মানবাধিকার আইডি নং- ৭২৬। অভিযোগ থেকে জানা যায়-মানবাধিকার সংস্থায় কাঠামো অনুযায়ী সেবা মূলক কাজ-কর্ম করায় তার জানা ও অজান্তে ইউপি সদস্যের স্বার্থে আঘাত হানায় বেশ কিছুদিন থেকে তাকে মারপিট করার নানান হুমকি দিয়া আসিতেছিল। এমতবস্থায় অত্র থানায় ইউনিয়নস্থ নানকর রসুলপুর মৌজাস্থ রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিমপাশে অনুমান ৩৫ গজ দুরে পাকা রাস্তায় পৌছা মাত্রই সুযোগ বুঝে উল্লেখিত জের ধরিয়া উপরোক্ত বিবাদীর ১২ই আগস্ট সকাল অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় আমার সামনে নিকট আসিয়া তার গালে, মুখ-মন্ডলে, বাম চিপে, বুকে, পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ী মারপিট করিয়া
কালো ও ফুলা জখম করে। এমনতাবস্থায় থানায় হাজির হইয়া ইউপি সদস্য মৃত আঃ বাকী মিয়ার পুত্র কফিল উদ্দিন (৪৫) ও তার চাচাচো ভাই মাজম মিয়ার ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (৩৫) নামে অভিযোগ করেন।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আলামিন মিয়া জানান-তারা মূর্খ মানুষ জমি জমার কাগজ পাতি সংক্রান্ত বিষয়ে খুব বেশি অবগত নয়।সেই জমিজমার কাগজ পাতি সংক্রান্ত বিষয়ে ওয়ারিশন সনদপত্র দরকার। ওয়ারিশন সনদপত্রের জন্য তারা ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করেন।ওয়ারিশন সনদপত্রে চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করলেও ইউপি সদস্য কফিল উদ্দিন স্বাক্ষর দিতে টালবাহানা করেন।এ বিষয়ে মনিরুল ভাই তার সাথে কথা বললে হঠাৎ তার ওপর চড়াও হয়ে মারধর করেন। তিনি আরোও বলেন- কাগজ পাতি বোঝার জন্য তাকে সাথে নিয়ে যাওয়ায় ইউপি সদস্য তাকে মারধর করটা ঠিক করেনি।
ভুক্তভোগী মনিরুল ইসলাম বলেন- ইউপি সদস্য কফিল উদ্দিন নিজেই মাদক ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত।তার বাড়িতে বড় ভাই দুলু মিয়া মাদকব্যবসা করতেছেন এবং বিভিন্ন সময়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছেন। মূলত তিনি ঢাকা থেকে আসার পর বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থনীতি সংক্রান্ত লেনদেনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে কথা বলায় ইউপি সদস্যের আয়ের উৎস কমে যায়। তাছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষকে মামলা-মোকদ্দমার ভয় দেখিয়ে অর্থ হাসিল করার ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। যখন থেকেই এগুলোতে বাধা দেওয়া সৃষ্টি করছেন তখন থেকেই তার সাথে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। পূর্ব শত্রুতার জেদ ধরে তাকে রাস্তা-ঘাটে ধরিয়া মারপিট ও রক্তাক্ত জখম করবে, হাত-পা
ভেঙ্গে ফেলিবে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসাবে মর্মে বিভিন্ন রকম হুমকি দেয় বিভিন্ন সময়ে।
মুঠোফোনে ইউপি সদস্য কফিল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরবর্তীতে ওই ইউপি সদস্যের সাথে বৈরাতী বাজারে দেখা হলে তিনি বলেন-মনিরুল তার নামে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে নানাবিধ মিথ্যা বানোয়াট তথ্য বলে বেড়ায় ও সম্মান দিয়ে কথা বলেন না ।
বড় হযরতপুর ইউনিয়ন বিটের কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আনিসুর রহমান জানান-ঘটনা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি সড়েজমিনে তদন্ত করেছেন। এ বিষয়ে উভয়পক্ষকে আলোচনায় বসার জন্য আহব্বান জানান। বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে তিনি সময় দিতে পারেননি তবে অচিরেই বসে সমস্যাটি সমাধান করবেন বলে জানান।তিনি আরোও বলেন-ইউপি সদস্য কফিল উদ্দিন বিষয়টি তার কাছে বসে সমাধান চেয়েছেন।