মো:মেহেদী হাসান ফুয়াদ
দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি
বৈষম্য ছাত্র বিরোধী আন্দোলনে গত চারই জুলাই সারা দেশে ন্যায় দিনাজপুরেও ছিল উত্তাল। পুলিশ প্রশাসনের বর্বরতা যেন সিনেমার কাহিনী কেহ হার মানায়, তারই চিত্র দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফুটে উঠেছে নিশাত, রাসেল, ইরফাত এর গায়ে।
অনেকেই বলেছেন দেশ স্বাধীন হয়েছে স্বৈরাচারীরা পালিয়েছে। যাদের হাত ধরে এই স্বাধীনতা, আজ তারা হাসপাতালের বিছানায় কাতর হয়ে নীরবে চোখের পানি ঝরাছে।
৪ জুলাই দিনাজপুর সেন্ট ফিলিপস হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নিশাদ ইসলামের গায়ে ছোড়া বুলেট বের হয়েছে একে একে ৩৩ টি ।
নিশাত জানায়, চিকিৎসা ক্ষেত্রেও অবহেলিত করা হচ্ছে তাদের ৪ জুলাই সন্ধ্যায় দিনাজপুর ২৫০ সয্যা জেনারেল হাসপাতাল (সদর হাসপাতালে) সন্ধ্যা ছয়টায় জরুরী বিভাগে ডাক্তার দেখালে কিছু ওষুধ লিখে দিয়ে তাদেরকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরের দিন ৫ এ জুলাই শরীরে প্রচন্ড ব্যথা হওয়ার কারণে প্রাইভেট ডাক্তার দেখিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে ১১ টি ছোড়া বুলেট বের করা হয়। বাসায় বিশ্রামে থাকার পরও মাঝে মাঝে হঠাৎ মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হলে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আরও ১১ টি ছোড়া বুলেট বের করা হয়। নিশাদের বাবা উপশহর ৫ নং ব্লকের বাসিন্দা জানান সেদিন সন্ধ্যায় ডাক্তারা ভালোভাবে চিকিৎসা করলে হয়তো আমার ছেলে এত কষ্ট পেত না।
চক জামিনি কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমবাড়ি ফাজিল মাদ্রাসার ফাজিল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাসেল ইসলাম জানান, আমি চার জুলাই দিনাজপুরে আন্দোলন করার পরে ৫ জুলাই ঢাকার আন্দোলনে সমহিত হয়। সেখানে খুব কাছাকাছি থেকে আমাকে গুলি ছাড়া হয়। দিনাজপুর মেডিকেলের কর্মরত ডাক্তাররা বলেেেছন আমার রোগেগুলি ঢুকে আছে
তাই এখানে ডাক্তাররা রিক্স না নিয়ে বাইরে ভালো চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। আমার মত অনেকেই রয়েছে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে রয়েছে। সকলের আমাদের জন্য দোয়া করবেন। দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে দিনাজপুর সদরের মাসিপুর এলাকার মোঃ ইরফাত আলী,সদরের বটতলী এলাকার মুসলিম আলী।