
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বালু দস্যুরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে।নদীগর্ভ থেকে তুলছে বালু, ভেঙ্গে যাচ্ছে আশেপাশের ফসলি জমি ও বসত বাড়ি।

সরজমিনে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমাড়া ইউনিয়নের সাহেরগঞ্জ (নরেঙ্গাবাদ)এলাকায় করতোয়া নদীতে দীর্ঘদিন ধরে শ্যালো বা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে স্থানীয় সাবেক মেম্বার শাহ আলম, সাদ্দাম, সামাদ সহ আর অনেকে। ফলে সেখানে নদীভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে এবং রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ভাঙ্গনকবলিত এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত ১৫ বছর ধরে সাবেক মেম্বার শাহ আলম গংরা প্রভাব খাটিয়ে নদী থেকে ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন চলছে। এবং তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই অবৈধ ব্যবসা করছেন।
করতোয়া নদীর তীর ঘেষে সাতানাবালুয়া গোসাইপুর সাহেবগঞ্জ চরপারা সহ প্রায় ৪টি গ্রামের লোক পারাপারের নদীর ঘাট।কিন্তু বালু উত্তোলনের ফলে অর্ধেক এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে।এভাবে করতোয়া নদী থেকে বছরের পর বছর বালু উত্তোলনের ফলে আশেপাশের ৪টি গ্রামের কয়েকশ পরিবার গৃহহীন হয়েছে।
বালু উত্তলোনের কারনে নরেঙ্গবাদ মাঝিপাড়া মাঝিরা বসতবাড়ি নদীর গভীর ভাঙ্গনে গভীর ভাঙ্গনে ভিটামাটি হারা হয়ে তারা আজ সরকারি ফার্মের জমিতে অবৈধভাবে বসত করে আছে দীর্ঘদিন যাবত। এবিষয়ে স্থানীয় লোকজন প্রশাসন বরাবর অভিযোগ করেও নদী থেকে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে পারেনি।
এভাবে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে নদী থেকে মাটি তোলা অব্যাহত থাকলে সাতানাবালুয়া,গোসাইপুর, সাহেবগঞ্জ ও চরপারাগ্রামের অধিকাংশ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হবে,’ বলে তারা জানান।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহকারী ভুমি কমিশনার আসাদুজ্জামান এ বিষয়ে জানান, নাম পিতার নাম ও স্পটের নাম দেন আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।।