
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে যাত্রীবাহী পরিবহন গুলো রোড পারমিট,ট্যাক্স টোকেন,ফিটনেছ মেয়াদ ছাড়া দাপিয়ে চলছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এসব গাড়ী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে থানা পুলিশ,হাইওয়ে থানা,ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করে এবং গাইবান্ধা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি(গাবিন্দগঞ্জ)-রাজঃ ৬৮০ এর প্রভাবে মাসিক চুক্তিতে চলছে এসব যানবাহন। প্রতি বছর একটি গাড়ীর জন্য ট্যাক্স টোকেন বাবদ ৮,৩৩২/- টাকা,ইনকাম ট্যাক্স ৬থেকে ৮হাজার টাকা,উন্নয়ন ফি ১হাজার ছয়শত টাকা এবং রোড পারমিট বাবদ ৪ হাজার টাকা সরকারের রাজস্ব খাতে এবং চেয়ারকোচে আরো বেশি টাকা জমা দেওয়ার কথা থাকলেও কোন গাড়ীর মালিক দিচ্ছে না ফি। এ উপজেলায় রেজিষ্টেশন নং ঢাকা মেট্রো-জ-১১-১১৭১, ১১-০২৩১, ১১-২৫০৭, ১১-১৬১৩, ১১-০০৭৬, ১১-৩০৮৮, ১১-২৩৯৭, ১১-০২১৯, ১১-০১৯০, ১১-১৩৩২, ১১-০৯৯৪, ১৪-২৭৮৪, রংপুর-জ-১১-০০৪৮, ১১-০০৫৯, ১১-০০৭৫, ১১-০০৬৪, ০৪-০০২২, ১১-০০৬৬,বগুড়া-জ-১১-০০৮২, ১১-০০৩১,গাইবান্ধা-জ-১১-০০০৮,জয়পুরহাট-জ-১১০০০৬ এই নম্বরের গাড়ী প্রতিদিনই চলে ঢাকা রংপুর মহাসড়কে,ফলে প্রতি বছর উপজেলার মিনিবাস খাত থেকে প্রায় পঁচিশ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। গাড়ী গুলো রাজধানীর বিভিন্ন রোডে চলার অনুমতি থাকলেও চলছে এ উপজেলায়। ডে-নাইট কোচ, মাইক্রোবাস,কার,কার্ভাডভ্যান, মিনি ট্রাক,বড় ট্রাক,সিএনজিসহ বিভিন্ন গাড়ী হতে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। গাড়ীর প্রকৃত কাগজপত্র না থাকা সর্তেও প্রশাসনের নাকের ডগায় দিব্বি চলছে অবৈধ গাড়ী। প্রতি বছর বিআরটিএ জরিমানা মওকুফের জন্য তাগিদ দিলেও তা মানছেনা গাড়ীর মালিকরা। এ বছর জরিমানা মওকুফ ও বৈধ কাগজ করার জন্য ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারন ছিল। সময় পেরিয়ে গেলেও বৈধ কাগজ না করে, অবৈধ পন্থায় হাইওয়ে থানা,ট্রাফিক ও মালিক সমিতির শ্রমিক নেতার যোগসাজসের মাধ্যমে চলছে। ঢাকা-মেট্রো-জ-১১-০২৩১, ১১-২৩৯৭,রংপুর-জ-০৪-০০২২,বগুড়া-জ-১১-০০৮১ এই নম্বরের চারটি গাড়ী রাস্তায় চলার কোন অনুমতি না থাকলেও দিব্বি চলছে। বর্তমানে যৌথবাহিনীর ম্যাজিট্রিটি ক্ষমতা রয়েছে তারা চাইলেই এসব গাড়ীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বৈধ কাগজের মাধ্যমে রাস্তায় গাড়ী চালানোর ব্যবস্থা করতে পারে।

এ বিষয়ে রংপুর রিজিওন হাইওয়ে এসপি মোহান্মদ জাকারিয়া বলেন,অনুমোদনহীন এসব গাড়ীর বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআরটিএ গাইবান্ধা জেলা সার্কেল সহকারী পরিচালক(ইঞ্জি)রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা অনেক বারই এসব গাড়ীর মালিকদের জানিয়েছি তারা কোন কথা শুনে না তবে এখন সময় এসেছে প্রয়জনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।