
বেরোবি প্রতিনিধি :
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, গণিত বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন তিনি। পরবর্তীতে উক্ত নারী বিয়ের কথা বললে আনোয়ার অস্বীকৃতি জানান, এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) মধ্যরাতে সোনিয়া আক্তার তার ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করে উল্লেখ করেন,
“আমার মৃত্যুর জন্য শুধু আমি দায়ী। এটা আমার একান্ত সিদ্ধান্ত। দয়া করে কাউকে কষ্ট দেবেন না। আমাকে সবাই ক্ষমা করে দেবেন।”
এরপর তিনি ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহননের চেষ্টা করেন। ওই মুহূর্তে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী জানান, “আমরা যখন সোনিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন মেইন গেটে আনোয়ার এসে উপস্থিত হয়। তিনি এম্বুলেন্সে জোরপূর্বক উঠার চেষ্টা করেন। সোনিয়া আনোয়ারকে দেখে আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে চিৎকার-চেচামেচি শুরু করে। অবস্থা বেগতিক দেখে আমরা আনোয়ারকে কাছে যেতে নিষেধ করি।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণিত বিভাগের ১৪তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী জানান, “আনোয়ার ভাই আমাদের বিভাগেরই ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি সাংবাদিকতার শক্তি দেখিয়ে সোনিয়াকে জোরপূর্বক প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করেন। প্রেম না করলে টিকতে পারবে না বলে হুমকি দিতেন। এক পর্যায়ে সোনিয়া সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য হয়।”
গণিত বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মাসুমা (ছদ্মনাম) বলেন, “আমি সোনিয়ার কাছের বান্ধবী। আনোয়ার নানা প্রলোভনে সোনিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। হয়তো এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়েছিল। সোনিয়া বিয়ের কথা বললেই বিপত্তি ঘটে। আনোয়ার তখন বেঁকে বসে এবং সোনিয়া জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেয়।”
বিষয়টি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। তবে সাংবাদিকের ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি।
জানা গেছে, আনোয়ার হোসেন দৈনিক যুগান্তর ও ডেইলি ক্যাম্পাস পত্রিকার বেরোবি প্রতিনিধি।


















