
আহসান হাবীব নাহিদ,স্টাফ রিপোর্টার :
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের কামারপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

২১শে আগষ্ট বুধবার সকালে উপজেলা কৃষি অফিসের অফিসারের কার্যালয়ে অভিযোগকারীদের নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মতিউল আলম। গত ১৫মে ২০২৪ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুরের চেয়ারম্যান বরাবরে লিখতে অভিযোগ দাখিল করেন অভিভাবক সদস্য শিক্ষক প্রতিনিধি ও সচেতন এলাকাবাসী।
উপজেলার কামারপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ আর এম মাহফুজার রহমান রাশেদ উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর নানাবিধ অনিয়ম, দূর্নীতি ও ৪টি নিয়োগ বানিজ্যেরের অপরাধে জড়িয়ে পড়েন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয় অত্র প্রতিষ্ঠানের আয়া পদে নিয়োগের জন্য সভাপতি মোঃ রুবেল মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ তাহেরা খাতুন এর নিকট থেকে অবৈধভাবে আট লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে উক্ত অর্থ নিজেই আত্মসাৎ করেন। অত্র প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় রেজিস্টার যেমন- রেজুলেশন বহি:, নোটিশ বহি:, নিয়োগ সংক্রান্ত পত্রাদি, কমিটির অনুমোদন ও যাবতীয় কাগজসহ বিদ্যালয়ের গোপন পাসওয়ার্ড বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের মোঃ আঃ ছামাদ এর নিকট থেকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। ৪টি পদে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের জন্য গোপনে ক্রটিপূর্ণ নিয়োগ কমিটি গঠনপূর্বক নিয়োগ অনুমোদন না করিয়া ভূয়াভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে মোঃ আনিছুর রহমান সরকারকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর ব্যতীত সভাপতি নিজেই নিয়োগপত্র প্রদান ও নিয়োগ যোগদান করান এবং বর্ণিত সহকারী শিক্ষক মোঃ আনিছুর রহমান সরকার সময় পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই উচ্চতর বেতন স্কেল গ্রহণ করেন। বিদ্যালয়ের অধিকাংশ অভিভাবক কথিত সভাপতির চলমান কার্যক্রম ও আচরণে ক্ষুব্ধ এবং তাহার ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণের নিকট অভিযোগ করেন যে, কথিত সভাপতি বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্পন্ন ব্যর্থ।
এবিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মতিউল আলম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন গত ১৫মে ২০২৪ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুরের চেয়ারম্যান বরাবরে লিখতে অভিযোগ দায়েরের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করেন। এরই আলোকে গত ২৮ জুলাই-এ ২১ আগষ্ট বুধবার তদন্তের দিন ধার্য্য করে অভিযুক্ত সভাপতি ও অভিযোগ কারীদের প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করি। এসময় অভিযোগকারীরা হাজির হয়ে তাদের স্বাক্ষী প্রমাণ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। কিন্তু অভিযুক্ত সভাপতি সমস্যার কারণে দেখিয়ে অনুপস্থিত থাকায় আগামী ২৫ আগষ্ট রবিবার তার স্বাক্ষ প্রমাণের দিন ধার্য্য করা হয়েছে।
উভয় পক্ষের স্বাক্ষ প্রমাণের প্রেক্ষিতে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।


















