
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার দরজি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাসের নামে বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শাখারি বাজার ওভারব্রিজ সংলগ্ন চার রাস্তার মোড়ে নির্মাণ কার্যক্রম দেখা যায়।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসের সামনে থেকে বাসস্ট্যান্ড অপসারণের জন্য ১১ সেপ্টেম্বর সমাবেশের ঘোষণা দেয় জবি শিক্ষক সমিতি। এ সময় বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে সদরঘাট-শাখারিবাজার চার রাস্তার মোড়কে ‘বিশ্বজিৎ চত্ত্বর’ ঘোষণা করেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন। পরবর্তীতে সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির জন্য আবেদন করা হয়।
স্মৃতিস্তম্ভ তৈরিতে নিয়োজিত নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, সিটি করপোরেশনের নির্দেশে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ হয়ে যাবে
অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, এখানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বিশ্বজিৎ দাসকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ জন্য আমি এই জায়গাটাকে বিশ্বজিৎ চত্ত্বর হিসেবে ঘোষণা করি। আমি বিশ্বাস করি, পুরান ঢাকার সাংস্কৃতিক আবহ এখান থেকেই তৈরি হবে। বিশ্বজিৎ চত্ত্বরটি রাজু ভাস্কর্যের আদলে একটি স্থাপনা। এটাকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকায় সাংস্কৃতিক এ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ চলাকালে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে দরজি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একদল কর্মী নৃশংসভাবে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা করেন।