আহসান হাবীব নাহিদ
স্টাফ রিপোর্টার :
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের হিন্দু সম্প্রদয়ের পরিবারের সম্পত্তি জোর পূর্বক দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন নামে শিরোনামে ১৮ ও ১৯ শে অক্টোবর তারিখে বিভিন্ন মিডিয়া সহ পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল-এ প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে ২২ শে অক্টোবর বুধবার বেলা ১২টায় শামীম গংরা কামারপাড়া পুরান লক্ষীপুরে তাদের নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
প্রতিবাদে গত ১৮-ই অক্টোবর শনিবার সুকমল চৌধুরী ওরফে গৌতম মেম্বার ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গাইবান্ধার কাচারিবাজার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা হিন্দু সম্প্রদায় হওয়ায় তাদের সম্পত্তি জোর পূর্বক আমরা দখল করেছি বলে আমাদের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ এনে সুকমল চৌধুরী ওরফে গৌতম মেম্বার ও তার পরিবারের সদস্যগণ প্রকৃত সত্য ঘটনাকে গোপন করে সাম্প্রদায়িকতা বিষয় এনে হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের লোকজন কে সামপ্রদায়িক ঘটনা বলে বুঝানোর চেষ্টা করে তাদের পক্ষে অবস্থান স্থানীয় পর্যায়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে মূলত তাদের অসৎ উদ্দেশ্য সফল করতেই সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত সাংবাদিক ভাইদের সামনে মিথ্যা-বানোয়াট ভিত্তিহীন ভুল তথ্য উপস্থাপন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল অভিযোগের তুলে তা প্রকাশিত করেছেন বলে উল্লেখ করে দাবী করে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সামনে সকলের অবগতির পরিবারের পক্ষে শামীম মিয়া লিখত বক্তব্য রাখেন।
এ-সময় শামীম মিয়া তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন সুকমল চৌধুরী ওরফে গৌতম মেম্বার ও তার ভাইয়েরা সহ পরিবারের সদস্যরা যে সম্পত্তি তাদের বলে দাবি করে তা জোর পূর্বক দখল অভিযোগ তুলেছে উল্লেখিত সেই সম্পত্তি
আমরা ১৯৫৫, ১৯৫৬ সাল হইতে হরচন্দ্র চৌধুরী এর নিকট হইতে ক্রয়কৃত সম্পত্তি দাখিলা ও কবলিয়ত মূলে আমরা ৬টি আমাদের দখলেই বসবাস করে হালচাষ ও সেচ মেশিন দ্বারা চাষাবাদ করে আসছি আসাকালীন সময়ের মধ্যেই উক্ত সম্পত্তি সমূহ এডিসি (রেভিনিউ) ও এসিল্যান্ড খাসখতিয়ানে নেয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানতে পারায় আমরা ভূমি আপিল বোর্ড বিষয়টি অবগত করে আবেদন করি যা ভূমি আপিল বোর্ড ২০১২ উক্ত সম্পত্তি ব্যক্তি মালিকানায় রাখার নির্দেশনা দিয়ে আদেশ প্রদান করেন।
এমতাবস্থায় ২০১৪ সালে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে সুকমল চৌধুরী ওরফে গৌতম মেম্বার কামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি দায়িত্বরত থাকার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা
আমাদের কে বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি হুমকি ধামকি প্রদান করে উক্ত সম্পত্তি তাদের বলে তা জবরদখল করার চেষ্টায় চেষ্টা করেও ব্যার্থ হওয়ায় সুকমল চৌধুরী ওরফে গৌতম মেম্বার তার ভাইগণ পরিবারের সদস্যরা অর্থরে বিনিময়ে হরচন্দ্র চোধুরী ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে নিয়ে তাদের নিকটতম আত্মীয় এডিসি (রেভিনিউ) ও এসিল্যান্ড দায়িত্বে থাকার সুবাদে হরচন্দ্রের ওয়ারিশ হিসেবে নাম খারিজ তালিকায় বে-আইনি ভাবে তাহাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে সম্পত্তি তাদের বলে দাবি করেন।
হরচন্দ্রের ওয়ারিশ শুত্রে তাদের বলে দাবি করে সুকমল চৌধুরী ওরফে গৌতম মেম্বার গংরা আমাদের বর্তমান বি আর এস রেকর্ড কাটার জন্য ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করে মামলাটি ট্রাইব্যাল ভূমি আপিল বোর্ডের রায় কে বহাল রেখে আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন।
রায় হেরে গিয়েও সম্পত্তি তাদের বলে দাবি করে আমাদের কে তারা তাদের অর্থের বিনিময়ে সন্ত্রাসী বাহিনীদ্বারা হুমকি ধামকি দিয়ে আসেন এবং ২৪সালে ৫ আগষ্টের স্বৈরশাসক ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগের দোষর সাদুল্লাপুর উপজেলা জাসদের প্রতিষ্ঠাতা নেতা বিগত ১০ ফেব্রয়ারী ২০২৫ শে স্বৈরশাসক ফ্যাসিষ্টের দোষর জাসদের সাদুল্লাপুর উপজেলায় প্রতিষ্ঠাতা নেতা মরহুম সাদেক আলী প্রমানিকের ছেলে সাদুল্লাপুর উপজেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে ১০/০২/২০২৫ ইং তারিখে ২-৩ শত সন্ত্রাসী নিয়ে গিয়ে উক্ত সম্পত্তি দখলের চেষ্টায় আমাদের ৫ টি পরিবারের ঘরবাড়ীতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে মেশিন ঘরে আগুন ধরিয়ে দিলে
এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুদ সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন পরবর্তীতে সেনাবাহিনী সহ যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাসুদ সহ ২৩-২৪ জন কে আটক করে থানা পুলিশের জিম্মায় সন্ত্রাসীদের হস্তান্তর করেন এ ব্যাপারে আমরা একটি মামলা করি যাহার জি আর ২৫/২৫ এখনো চলমান আছে।
এছাড়াও এই ভূমিদস্যু সুকমল চৌধুরী ওরফে গৌতম মেম্বার গংরা ভুয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করার সহ ভুয়া ওয়ারিশ হিসেবে ওয়ারিশ সনদের মাধ্যমে গাইবান্ধা এডিসি (রেভিনিউ) এর বাসভনটিও তাদের বলে দাবি করেন যা নিয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি এখনো পর্যন্ত চলমান আছে তাদের এভাবে সাংবাদিকদের মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন তথ্য সামনে উপস্থাপন করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে পরিকল্পনায় মাধ্যমে প্রতারণা মানুষ কে অহেতুক হয়রানি করা বন্ধে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়ের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করে সঠিক তদন্ত মাধ্যমে বিচারের দাবি করেন শামীম গংরা।
