
লালমনিরহাটঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় উন্নত, স্বচ্ছ ও আধুনিক গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই পিএলসি (নেসকো)।

আজ ১ডিসেম্বর (সোমবার) সকালে উপজেলার মেডিকেল মোড় এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রংপুর বিভাগের সার্কেল-২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পলাশ চন্দ্র দাস এবং হাতীবান্ধা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প বিভাগ-২, রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনির হোসেন, নেসকো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, হাতীবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম হোসেনসহ নেসকোর অন্যান্য কর্মকর্তারা।
রংপুর বিভাগের সার্কেল-২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পলাশ চন্দ্র দাস জানায়, প্রিপেইড মিটার ব্যবহারে গ্রাহকরা পাচ্ছেন নানা সুবিধা-যা বিদ্যুৎ ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করছে।
প্রিপেইড মিটারের উল্লেখযোগ্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে। অতিরিক্ত বা ভুল চার্জিংয়ের ঝুঁকি নেই, বিলিং শতভাগ সঠিক। যেখানে খরচ, সেখানেই বিল ফলে অযাচিত বিলিং বর্জিত। গ্রাহক নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন তার বিদ্যুৎ ব্যয়ের পরিমাণ। অগ্রিম রিচার্জ করে নিজের বাজেট অনুযায়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার ঝামেলা নেই। রিচার্জ না থাকলে সতর্কবার্তা দিয়ে মিটার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে। সাপ্তাহিক এবং সরকারি ছুটির দিনে বিদ্যুৎ বন্ধ হবে না।
এছাড়াও বিকাল ৪টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ হবে না। জরুরি প্রয়োজনে “ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স” সুবিধা মিলবে। রিচার্জ পদ্ধতি সহজ-অনলাইনে, বিকাশ, রকেটসহ বিভিন্ন মাধ্যমে রিচার্জ করা যায়। সরকারি ছুটির দিনে বা বন্ধের সময়ও সুবিধা অনুযায়ী বিলিং সমন্বয় থাকে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম মিঞা বলেন, “প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের মাধ্যমে হাতীবান্ধাবাসী ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করলো। এতে করে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিগত সময়ের মতো বিল নিয়ে অভিযোগ থাকবে না, ফলস্বরূপ গ্রাহকদের অনেকটাই ভোগান্তি কমবে।”


















